ফেরাউন মুসলমানদের জন্য কাফের এবং ঘুঁটা বিশ্বের জন্য একটি বিশেষ নাম। তার মৃত্যু একটি দৃষ্টান্ত।
যুগ যুগ ধরে আল্লাহ এই দৃষ্টান্ত বৃদ্বমান রেখেছেন। বিশেষ করে নির্যাতন ও নিপীড়নকারি শাসকদের জন্য এক ভয়ানক দৃষ্টান্ত হলো ফেরাউন। ফেরাউন বা ফারাও মূলত বনী ইজরাইল যুগের ধর্মীয় যাজক বা ধর্মীয় ব্যক্তি এবং সম্ভ্রান্ত পরিবার বা রাষ্ট্রের শাসকের উপাধি।
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল খ্রীস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে সেই মিসরের এককালীন সম্রাটদের উপাধি ছিল ফেরাউন বা ফারাও।
৫০০০-৩২০০ খ্রীস্টপূর্ব পর্যন্ত মিশরকে প্রাক রাজ বংশীয় দুত্য বলা হয় এই সময় মিশর কতগুলো ছোট ছোট রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল সেগুলো কে বলা হতো নওম।
রোমান সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াসের ইতিহাস ---bdnewsday3
৩২০০ খ্রীস্টপূর্ব অব্দি মেনেস নামে এক রাজা সমগ্র মিশরকে একত্রে করে একটা নগর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেন।দক্ষিণ মিশরের মেমপিস হয় এই নগরের রাজধানী।
এখান থেকেই মূল মিশরের রাজবংশের সূচনা হয়।নিল নদ তাদের জন্য আশীর্বাদ ছিল। তাই নিল নদ কে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে উঠার কারণে গ্রিক দার্শনিক হেরোডোটাস মিশরকে নিলনদের দান বলে উল্লেখ করেন। সে সময় নিল নদের তীরে বসবাসকৃত লোকজনদের নিজস্ব দেবদেবী ছিল। তাদের বিখ্যাত সংস্কৃতিতে সর্বাধিক জনপ্রিয় হলো ফারাউ বা ফেরাউনের মমি।ফারাউ বা ফেরাউনদের মমি অতি বৈচিত্র্যময় ছিল এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ তাদের পরিহত মাথার মুকুট। তারা সাদা ও লাল রং এর মুকুট পড়ত। মিশর হতে উদ্ধারকৃত নার্মার প্লেট হতে এই তথ্য মেলে।
এরা নিজেদের কে সূর্যের বংশধর মনে করত। বলা হয় নিজেদের কে দেবতা বলে মনে করাই বংশের বাইরে অন্য কাউকে বিয়ে করত না। ফলে অনেক সময় নিজেদের ভাই-বোনদের মধ্যেই বিয়ে করতে হত।
তবে ফেরাউন মৃত্যুর পরে ও জীবন আছে বলে বিশ্বাস করত।মিশরিয় ফেরাউনদের কতগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ছিল তারা বিচারক হিসেবে নিরপেক্ষ এবং সর্বদা ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করত।তারা কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করতেন এবং রাজ্য শুসাশন নিশ্চিত করতেন। ফলে হাজার হাজার বছর দরে বংশ পরম্পরায় মিশর কেন্দ্রীক বিস্তৃত অর্থাৎ উত্তর আফ্রিকা মধ্য প্রাচ, ব্যবলিন, সিরিয়া প্রবৃত্তি অঞ্চল শাসন করতে পেরেছিলেন। প্রাচীন মিশরীয় রাজাদের ফারাউ বা ফেরাউন নামে ডাকলেও প্রতেক শাসক ছিল আলাদা আলাদা নামে। পবিত্র কুরআনে যে ফেরাউনের নাম এসেছে তার কৃত নাম ছিল ২য় রামেসিস বলে ইতিহাসবিদরা বিশ্বাস করেন।
ইনফরমেশন সিস্টেমের মূলায়ন----bdnewsday3
হযরত মুসা আঃ অবস্থানকালে ২য় রামেসিসের মৃত্যু ঘটে এবং হযরত মুসা আঃ জীবনের পরবর্তী ঘটনাবলী সংগঠিত হয় ২য় রামেসিসের রাজত্বকালে। যাইহোক Egypt বা মিশর নামে পরিচিত আধিবাসীদের মধ্যে ২য় রামেসিস বা শক্তিশালী রক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিল।
এই ছিল আমাদের ফেরাউন সম্পর্কে তথ্য। এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনি যদি এই পোস্টে নতুন কিছু যুক্ত করতে চান তবে মন্তব্য করে জানাতে পারেন। bdnewsday3 সম্পর্কে সমস্ত আপডেট পেতে আমাদের Facebook পেইজে যুক্ত হোন।
0 Comments